সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শুক্রবার দিবাগত রাত (৩০ এপ্রিল) ১২টা ৫০-এ মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ইউনাইটেড হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমান শুভ।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় বলে জানিয়েছেন সাজ্জাদুর রহমান শুভ। তিনি আরও জানান, আজ রাত তার লাশ মরচুয়ারিতে রাখা হবে। মৃত্যুকালে আবদুল মুহিতের বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
আবুল মাল আব্দুল মুহিত একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, লেখক ও ভাষাসৈনিক ছিলেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশান আজাদ মসজিদে প্রথম জানাজা, সকাল সাড়ে ১১টায় সংসদ প্লাজায় দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ১২টায় তাঁর লাশ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। এরপর দাফনের জন্য সিলেটে নেওয়া হবে।
সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পৃথক শোক বিবৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তার ছোট ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ তথ্য জানান।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুলশান আজাদ মসজিদে সাবেক এ অর্থমন্ত্রীর প্রথম জানাজা, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংসদ প্লাজায় দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১২টার দিকে তার মরদেহে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নেয়া হবে। এরপর দাফনের জন্য মরদেহ সিলেটে নেওয়া হবে।
গত বছরে করোনায় আক্রান্ত হন আবুল মাল আবদুল মুহিত। ওই বছরের ২৯ জুলাই তাঁকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। পরে তিনি করোনামুক্ত হয়ে বাসায় ফেরেন। তখন থেকে তিনি শারীরিকভাবে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েন। সাবেক এ অর্থমন্ত্রী ১৯৮২-৮৩ ও ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে দু’বার, এবং ২০০৯-১০ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে টানা ১০ বারসহ সর্বমোট ১২ বার বাজেট পেশ করেন।